প্রবণের আয়নিক গুণফল এবং দ্রাব্যতা গুণফলের প্রয়ােগ নিরূপন [এইচএসসি রসায়নবিজ্ঞান]









১২শ সপ্তাহ
এইচএসসি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
বিষয়ঃ রসায়নবিজ্ঞান

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন স্বল্পদ্রাব্য লবণের সম্পৃৃক্ত দ্রবনে লবণ হতে উৎপন্ন আয়নগুলোর যথোপযুক্ত ঘাতসহ মোলার ঘনমাত্রার গুনফলের সর্বোচ্চ মানকে ঐ তাপমাত্রায় লবণটির দ্রাব্যতা গুনফল বলে। যেকোন দ্রবনের প্রতি মোল দ্রব থেকে উৎপন্ন আয়নসমূহের উপযুক্ত ঘাতসহ ঘনমাত্রার গুনফলকে আয়নিক গুনফল বলে।

আয়নিক গুনফল যেকোন দ্রবনের জন্য হলেও দ্রাব্যতা গুনফল শুধুমাত্র সম্পৃক্ত দ্রবনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আয়নিক গুনফলের মান মোলার ঘনমাত্রার উপর নির্ভর করে।আর দ্রাব্যতা গুনফল একটি স্থির সংখ্যা।

প্রবণের আয়নিক গুণফল এবং দ্রাব্যতা গুণফলের প্রয়ােগ নিরূপন

দ্রবণ বলতে আমরা যা বুঝি

যে একটা দ্রাবক থাকবে(যেমন পানি) । আর তাতে কিছু একটা মেশানো হলে সেটা পুরোপুরি মিশে যাবে, মানে ঐ মেশানো পদার্থটার অস্তিত্ব দৃশ্যমান হবে না। ঐ মেশানো পদার্থটাকে বলা হবে দ্রব। সাধারনত আয়নিক যৌগ (অধিকাংশ) যারা আছে তারা পানিতে দ্রবীভূত হয় (কিছু সমযোজী যৌগও হয় । এই ব্যাপারে আরেকদিন আলোচনা করব) ।
আয়নিক যৌগগুলোকে পানিতে ফেললেই তারা আয়নিত হয়ে পানির অণুসমূহের সাথে পাশাপাশি অবস্থান করে । কিন্তু এরা বিক্রিয়া করে না, #পয়েন্ট, যৌগ কিন্তু দ্রবীভূত হবার সময় পানির সাথে বিক্রিয়া করে না । শুধুই আয়নিত হয়ে পাশাপাশি অবস্থান করে। আর তখনই আমরা তাকে দ্রবণ বলি!
এইত…

আয়নিক গুণফল এবং দ্রাব্যতা গুণফল

এখন কথা হলো, দ্রাব্যতা কি?

হুম, তার আগে বুঝতে হবে “সম্পৃক্ত” শব্দটা দিয়ে কি বুঝায়, ধরো, তোমার কাছে ১টা চেয়ার আছে, সেটা খালি, সেটি একজন মানুষকে বসাতে পারে, মানে চেয়ার এর ধারনক্ষমতা ১ জন মানুষ। যতক্ষন এ চেয়ারে এক জন মানুষ বসছে না ততক্ষন আমরা বলবো চেয়ারটা অসম্পৃক্ত। যখনই কেও বসবে এবং তাতে চেয়ারের ধারনক্ষমতা পূর্ন হয়ে যাবে তখনই বলব চেয়ারটি সম্পৃক্ত। বুঝেছো? কোন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি দ্রাবক(পানি) কোন একটি নির্দিষ্ট দ্রবের একটি নির্দিষ্ট পরিমানই কেবল ধারন করতে পারে। যেমন ২০ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০০ মিলি পানি NaCl এর সর্বোচ্চ ৩৬গ্রাম ধারন করতে পারে। মানে, ১০০ মিলি পানি নিলে তাতে সর্বোচ্চ ৩৬ গ্রাম NaCl দ্রবীভূত(মানে আয়নিত) হতে পারে। আর এই সর্বোচ্চ পরিমান দ্রব যখন দ্রাবকের ধারনক্ষমতা পূর্ন করে ফেলবে তখন আমরা দ্রবনটিকে সম্পৃক্ত বলতে পারি, তাইতো?? (লাইনটা না বুঝলে আবারো পড়ো)
এখন, এই সম্পৃক্ত দ্রবণ বানাতে এই তাপমাত্রায় তোমার যে পরিমান দ্রব লেগেছে সেটাই হল ঐ দ্রবের দ্রাব্যতা ।
উপরের উদাহরন অনুযায়ী দেখলে, NaCl এর দ্রাব্যতা হবে 36g/100ml.(২০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায়) দ্রাব্যতা একটি দ্রবের(মানে যৌগের) মৌলিক ধর্ম, পৃথিবীর সকল স্থান হতে প্রাপ্ত NaCl এর দ্রাব্যতা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একই হবে। দ্রাব্যতার একক সাধারনত মোল/লিটার । উপরের উদাহরন হিসেব করলে NaCl এর দ্রাব্যতা তোমরা পাবে 6.15 mol/Litre (36g/100 ml= 6.15 mol/litre, হিসেব করে দেখো)

আরও দেখুন; HSC 12th Week Assignment Answer 2022

এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন (এখানে ক্লিক করে)

শিখনফল

আয়নিক যৌগের ন্রীগের দ্রাব্যতা, প্রাব্যতা নীতি ও দ্রাব্যতা গুণফল ব্যাখ্যা করতে পারবে।

নিদেশনা

১। দ্রাব্যতার উপর বিভিন্ন নিয়ামকের প্রভাব ব্যাখ্যা করা
২। বিভিন্ন স্বল্পদ্রাব্য লবণের জন্য দ্রাব্যতা গুণফলের সমীকরণ প্রণয়ন করা
৩। 25°C তাপমাত্রায় পানিতে A2B লবণের সম্পৃক্ত দ্রবণে B আয়ণের ঘণমাত্রা 6.4×105 M হলে ঐ লবণের দ্রাব্যতা গুণফল হিসাব করা
৪। 10 ml 0.30 M AB3, দ্রবণে 2 ml. 0.2S M NH4OH দ্রবণ যােগ করা হল, 25°C তাপমাত্রায় A(OH)3; লবণের দ্রাব্যতা গুণফল 3.98×10-38 হলে মিশ্রনে অধঃক্ষেপ পড়ার সম্ভবনা যাচাই করা

Leave a Comment